বইয়ের কিছু কিছু বর্ণনা অসামান্য। কিছু মুহূর্ত তুলনাহীন। যেমন, "সায়নের জন্য অপেক্ষা করে আছে বৃষ্টি...একজন দুঃখী মানুষই শুধু তার বন্ধু হতে পারে এখন। হৃদয়ের জমা কষ্ট হৃদয়েই রয়ে গেল...।" পাঠিকা হিসেবে সায়নের সঙ্গে বৃষ্টির দেখা হওয়া...মিলন কাঙ্ক্ষিত ছিল। যেমন কাঙ্ক্ষিত ছিল জয়ার সঙ্গে সুবীরের মানসিক টানাপোড়েনের অবসান। একইসঙ্গে নিচের কিছু কিছু বিবরণ মনে দাগ কেটে যায়:
"বৃষ্টি নিজেও বুঝতে পারল না কেন যে চোখে আচমকা জল এসে গেল তার। একেই কি তবে নিকটজনের টান বলে?" অথবা "..."কিছু কিছু মানুষকে চিনিয়ে দেওয়ার দরকার হয় না। দেখলেই চিনে ফেলা যায়...।"
সায়নের প্রশ্নের সামনে অসহায় বৃষ্টি - "কি এত দুঃখ তোমার? বাবা মার ডিভোর্স হয়ে গেছে? স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে থাকতে পারেননি, আলাদা হয়ে গেছেন। সেটা সম্পূর্ণ তাদের পারসোনাল ব্যাপার। এই যে রনির মা বাবা সকাল-সন্ধে দুজনে দুজনকে অভিশাপ দ্যান, এটাই ঠিক? এক সঙ্গে থাকা কি দুজনে দুজনকে দুরমুশ করার জন্য?" বৃষ্টির কোনো উত্তর দেবার ছিল না...উত্তর কারোর থাকেও না!
"...কোনো মানুষই শুধু স্মৃতি আঁকড়ে বেঁচে থাকতে পারে না। নিজের মত করে আরেকবার জীবনটাকে গড়ে তুলতে চাওয়া অন্যায়? অন্যের মুখের দিকে তাকিয়ে সারা জীবন আপস করে চলতে হলে তার পরিণতি কি হয় জানো?..." ভীষণই সত্যি! স্মৃতি শুধু কষ্টই দেয়...তাই জীবনটাকে নিজের মত করে দেখা, বাঁচাটা খুবই দরকার। একটা মানুষ কতটা আপস করবে? তাই এক এক সময় লড়াই করতে করতে পিঠ ঠেকে যায় দেয়ালে। তখন মানুষ খুঁজে বেড়ায় এমন একটা অবলম্বন যেটা তাকে নতুনভাবে বাঁচতে, উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করে। ভুলে যেতে সাহায্য করে অসহ্য স্মৃতিগুলোকে। তাই রোজকার জীবনে বাঁচার একটা অনুপ্রেরণা একান্তই দরকার।
এরকম অজস্র সুন্দর বর্ণনা, মুহূর্ত, বইটা পড়তে পড়তে আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। কাঁচের দেওয়াল পড়তে পড়তে একবারও মনে হয়নি যে একটা বই পড়ছি। মনে হয়েছে এটা আমাদের রোজকার জীবনালেক্ষ।আমাদের জীবনে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা। বইটা শেষ হওয়ার পর তাই আশ মেটে না। মনে চলে অনুরণন। মনকে ভাবায় প্রতিনিয়ত, তোলপাড় করে...ঠিক বৃষ্টির মত...মুষলধারে পড়া বৃষ্টি!!
"বৃষ্টি নিজেও বুঝতে পারল না কেন যে চোখে আচমকা জল এসে গেল তার। একেই কি তবে নিকটজনের টান বলে?" অথবা "..."কিছু কিছু মানুষকে চিনিয়ে দেওয়ার দরকার হয় না। দেখলেই চিনে ফেলা যায়...।"
সায়নের প্রশ্নের সামনে অসহায় বৃষ্টি - "কি এত দুঃখ তোমার? বাবা মার ডিভোর্স হয়ে গেছে? স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে থাকতে পারেননি, আলাদা হয়ে গেছেন। সেটা সম্পূর্ণ তাদের পারসোনাল ব্যাপার। এই যে রনির মা বাবা সকাল-সন্ধে দুজনে দুজনকে অভিশাপ দ্যান, এটাই ঠিক? এক সঙ্গে থাকা কি দুজনে দুজনকে দুরমুশ করার জন্য?" বৃষ্টির কোনো উত্তর দেবার ছিল না...উত্তর কারোর থাকেও না!
"...কোনো মানুষই শুধু স্মৃতি আঁকড়ে বেঁচে থাকতে পারে না। নিজের মত করে আরেকবার জীবনটাকে গড়ে তুলতে চাওয়া অন্যায়? অন্যের মুখের দিকে তাকিয়ে সারা জীবন আপস করে চলতে হলে তার পরিণতি কি হয় জানো?..." ভীষণই সত্যি! স্মৃতি শুধু কষ্টই দেয়...তাই জীবনটাকে নিজের মত করে দেখা, বাঁচাটা খুবই দরকার। একটা মানুষ কতটা আপস করবে? তাই এক এক সময় লড়াই করতে করতে পিঠ ঠেকে যায় দেয়ালে। তখন মানুষ খুঁজে বেড়ায় এমন একটা অবলম্বন যেটা তাকে নতুনভাবে বাঁচতে, উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করে। ভুলে যেতে সাহায্য করে অসহ্য স্মৃতিগুলোকে। তাই রোজকার জীবনে বাঁচার একটা অনুপ্রেরণা একান্তই দরকার।
এরকম অজস্র সুন্দর বর্ণনা, মুহূর্ত, বইটা পড়তে পড়তে আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। কাঁচের দেওয়াল পড়তে পড়তে একবারও মনে হয়নি যে একটা বই পড়ছি। মনে হয়েছে এটা আমাদের রোজকার জীবনালেক্ষ।আমাদের জীবনে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা। বইটা শেষ হওয়ার পর তাই আশ মেটে না। মনে চলে অনুরণন। মনকে ভাবায় প্রতিনিয়ত, তোলপাড় করে...ঠিক বৃষ্টির মত...মুষলধারে পড়া বৃষ্টি!!
BLOG TA KHUB VALO LAGLO KARON KAACHER DEWAL AMAR O PORA. BOI TA JOKHON PORI TOKHON AMAR 17 YEARS AND BRISTY R 18, SEI HISEBE AMAR I PRAY SOMO SAMOYIK. UPPONASER SONGE PRESIDENCY COLLEGE JORIA ACHE, AMI O BES KOEKBAR COLLEGE TATE JAI KICHU KAJE, TOKHON OBOCHETON MONE KHUJTAM BRISTY DER DOL K. KINTU AMADER SOBAR I EIROKOM EK EKTA GROUP THAKE, THAKE DUKKHO,OVIMAN, VULBOJHABUJHI. TAI UPPONASER SONGE SAMAJIK PREKHIT TAO VALO BOJHA JAI.DORKAR HOY SAYANDIP K J JIBON K CHINEA DEI.JIBON MANE ONNER OPOR PROTISHOD NEWA NOI. BLOG TA VERY CLOSE TO MY HEART.
ReplyDeleteHaven't read this book but your review is wonderful. And thanks for your comment on my blog. Shall keep coming to your blog now and then. Regards
ReplyDelete