Monday, March 14, 2016

শূন্য থেকে শুরু

ঐন্দ্রিলার হাতে এখন অনেকটা সময় ।অবসর অনেক কিছু ভাবার, করার। তবুও কি যেন একটা চিন্তা কুরে কুরে খাচ্ছে দিনরাত। কোনো কিছুতেই মনোনিবেশ করতে পারছে না ঠিকভাবে। কি সেটা? ঐন্দ্রিলার নিজের কাছেও ব্যাপারটা পরিষ্কার নয়। ইদানিং একটা অদ্ভুত অস্থিরতা গ্রাস করেছে তাকে। হতে পারে সেটা নতুন কিছু করার ইচ্ছে বা নিজের সুপ্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। ঐন্দ্রিলা লিখতে চায়। মন খুলে। সীমাহীন কল্পনার ডানায় ভর করে। লিখতে চায় অনেক কিছু – বলতে চায় অনেক না বলা কথা, গল্প। 

ঐন্দ্রিলার একাকিত্বই তার শক্তি – তার এগিয়ে চলার চাবিকাঠি – নতুন কিছু করার উদ্যম! এই একাকিত্বই তার কল্পনাকে সমৃদ্ধ করেছে  দিয়েছে নিজের মধ্যে নিহিত শক্তিকে চেনার অনুপ্রেরণা। তাই আজ থেকে আবার নতুন করে শুরু করা নতুন করে ভাবা  নতুন উদ্যমে লেখা। কারণ লেখাই ঐন্দ্রিলার পরিচয় ও প্রধান হাতিয়ার। বেঁচে থাকার মূলমন্ত্র। তার অন্তরের ভাষা। তার চিন্তার রসদ। গতানুগতিক জীবন পছন্দ নয় ঐন্দ্রিলার। সে চায় লিখতে, ছবি আঁকতে, ঘুরে বেড়াতে এবং বই পড়তে। আর ভালো সিনেমা দেখতে। কিন্তু তাতে তো আর জীবন চলে না, টাকাপয়সার জোগানও হয় না। তাই একরকম বাধ্য হয়েই একটা চাকরি খোঁজা। কিন্তু ঐন্দ্রিলা পেয়ে গেছে তার লক্ষ্য  তার স্বপ্নকে বাস্তব করার নেশা। লেখা  শুধু লিখে যাওয়া। আজ থেকেই তার নতুন পথ চলা! শূন্য থেকে শুরু। স্বপ্ন কি সত্যি হবে ঐন্দ্রিলার? 


Wednesday, February 18, 2015

রঙে রঙে এলো হোলি

খেলব হোলি রং দেবনা তাই কখনো হয়?

হোলি - রং খেলার এই বিশেষ দিনে সবাই রঙিন হয়ে উঠতে চায় নিজের মত করে। রং খেলুন মনের আনন্দে, কিন্তু কখনই অন্যের ক্ষতি করে নয়। অন্যের ইচ্ছের বিরুদ্ধে নয়। 

ভালো ব্রান্ডের আবির মাখুন আর প্রিয়জনেদের রাঙিয়ে তুলুন। বাড়িতে তৈরী, প্রাকৃতিক ভেষজ আবির চুল ও চামড়ার পক্ষে সবচেয়ে ভালো। সস্তা রং আপনার মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। তাই ভালো কোয়ালিটির রং বাছুন। লাল ও গোলাপী রং ছাড়া অন্যান্য রং, যেমন, নীল, সবুজ, হলুদ, বেগুনি, ইত্যাদি আপনার চামড়ার জন্য 'সেফ' নয়। এগুলির মধ্যে ক্ষতিকারক কেমিকাল থাকে যা চামড়ার মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।

রং খেলার আগে আপনার চুল, চামড়া ও নখের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত করুন। রং মাখার আগে ও পরে মুখে ক্রিম লাগান। চুল ঢেকে রাখুন। খেয়াল রাখুন যাতে রং চোখে না ঢুকে যায়। সানগ্লাস ব্যবহার করুন। হালকা সুতির জামাকাপড় পরুন।

স্কিন এলার্জি থাকলে রং খেলা থেকে বিরত থাকুন। 

হোলির দিনে রং খেলা একটা অত্যন্ত আনন্দের অনুভূতি। তা থেকে নিজেকে বঞ্চিত করবেন না। রং খেলুন সামান্য কিছু নিয়ম মেনে।



  

Monday, August 25, 2014

আবার আসছে পুজো

আবার এসে গেল পুজো! আর মাত্র অল্প কিছুদিনের অপেক্ষা। প্রতিবারের মতো এবারেও থাকবে নানা চমক, নানা রকম নতুন থিম, মণ্ডপসজ্জা, প্রতিমা, আলোর রোশনাই। প্রতিটা বাঙালিই সারা বছর মায়ের আগমনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকে। মা দুর্গার নব কলেবর ও নতুন সাজের সঙ্গে আমরাও সেজে উঠি নতুন জামাকাপড়ে। বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ আনন্দ এই দুর্গাপুজো। আজ দুর্গাপুজো শুধুমাত্র বাঙালিদের মধ্যেই আবদ্ধ নেই। তা হয়ে উঠেছে সার্বজনীন, সব ধর্মের ঊর্ধে এক বিরাট আনন্দময় মিলন ক্ষেত্র। আজ দুর্গাপুজোয় সবাই যোগদান করে, সবাই এগিয়ে এসে পুজোর কাজ করে, অঞ্জলি দেয়, প্রতিমা দর্শন করে, আনন্দ করে, এটা খুব সুন্দর, দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগে। মা দূর্গা জগৎ জননী, সকলের মা, সেখানে কোনো ভেদাভেদ চলে না। সকলের কাছে তাই অনুরোধ, আনন্দ করুন প্রাণ ভরে, সব ভুলে, খুব ভালো থাকুন আর সকলকে ভালো রাখুন। সকলের মুখে হাসি ফোটান! খুব আনন্দে কাটুক আপনাদের সবার পুজো!


Sunday, August 4, 2013

পুজোর গন্ধ


পুজোর একটা অদ্ভূত গন্ধ আছে। ছোটবেলা থেকেই  অনুভব করে আসছি এটা। মা আসছে, এই অনুভূতিটাই অসম্ভব সুন্দর। আকাশে বাতাসে একটা মন উড়ু  উড়ু ভাব। গ্রামে গঞ্জে কাশফুল। নীল আকাশে সাদা পেঁজা তুলোর মত মেঘ। ঝকঝকে রোদ্দুর। শরতের আকাশ জানান দেয় মায়ের আগমন। একটা মন কেমন করা আলো। এই সময়  মন চায় প্রিয়জনকে। মন খুলে গল্প,  খাওয়াদাওয়া, বেড়ানো - সব কিছুই পুজোতে অন্যরকম। পুজোর চার দিন মন চায় সময়ের হিসেব না করে সমস্ত সুন্দর বর্ণ ও গন্ধ কে শুষে নিতে। পুজো চলে গেলে তাই মন খারাপ হয়। মনে হয়  সবকিছু বিবর্ণ গন্ধহীন হয়ে গেল। তাই পুজোকে ঘিরে এই অপেক্ষাই ভালো!







Wednesday, September 26, 2012

কিছু প্রিয় রবীন্দ্রসঙ্গীত



রবীন্দ্রনাথ। এই একটা নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে বাঙালির জীবনে। আমরা যেখানেই যাই না কেন, রবীন্দ্রনাথকে বাদ দিতে পারিনা। আমাদের সুখে রবীন্দ্রনাথ, দুঃখে রবীন্দ্রনাথ। জীবনের সমস্ত ওঠাপড়ায় রবীন্দ্রনাথ। আনন্দে, বিষাদে, ভালবাসায় রবীন্দ্রনাথ। রবি ঠাকুরের গান আমাদের জীবনের দৈনন্দিন অঙ্গ, মনের সব রকম ভাবের সঙ্গী। নিচে রইল সেরকমই কিছু রবীন্দ্রসঙ্গীত যা আমার অত্যন্ত পছন্দের...

যে রাতে মোর দুয়ারগুলি 
 
একটুকু ছোঁয়া লাগে 

আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ 

আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়েছিলে 

আলোকের এই ঝরনাধারায়  

একি লাবণ্যে পূর্ণ প্রাণ 

ভালবেসে সখী নিভৃতে যতনে
  
প্রাণ চায় চক্ষু না চায় 

চক্ষে আমার তৃষ্ণা 

দাঁড়িয়ে আছ তুমি আমার গানের ওপারে

জাগরণে যায় বিভাবরী 

বঁধু কোন আলো লাগলো চোখে 

ভালবাসি ভালবাসি 

প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে 

নয়ন তোমারে পায়না দেখিতে রয়েছ নয়নে নয়নে

আরও পছন্দের অনেক গান আছে যা বাকি রয়ে গেল। পরের কোনো  পোস্টে তা নিয়ে আলোচনা করবো কথা দিলাম...

Sunday, August 26, 2012

কাল হো না হো...

Har Ghari Badal Rahi Hai Roop Zindagi
Chhaon Hai Kabhi Kabhi Hai Dhoop Zindagi
Har Pal Yahan
Jee Bhar Jiyo...Jo Hai Sama
Kal Ho Na Ho

Chaahe Jo Tumhe Poore Dil Se
Milta Hai Woh Mushkil Se
Aisa Jo Koi Kahin Hai
Bas Wohi Sabse Haseen Hai
Us Haath Ko Tum Thaam Lo
Woh Meherbaan Kal Ho Na Ho

Palkon Ke Leke Saaye
Paas Koi Jo Aaye
Lakh Sambhalo Paagal Dil Ko
Dil Dhadke Hi Jaaye
Par Sochlo Is Pal Hai Jo
Woh Dastaan Kal Ho Na Ho



আমার অনেক প্রিয় গানের মধ্যে অন্যতম এই গান! কথা ও সুর অসাধারণ মন কেমন করা, মনকে নাড়া দেওয়া প্রতিটি লাইন। এমন গানই তো জীবনে বেঁচে থাকা, আশা আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন, ওঠা পড়ার মূলমন্ত্র। তাই কাউকে “taken for granted ভেবে নিও না। সেই হাত টাকে আঁকড়ে ধরো যে তোমায় ভালবাসে, তোমার জন্য ভাবে। কারণ কাল সে তোমার পাশে নাও থাকতে পারে...kal ho na ho...   


Monday, July 30, 2012

বর্ষার সাতকাহন - বর্ষার প্রেম

বর্ষা মানে টাপুর টুপুরইলিশ মাছটি ভাজা 
বর্ষা মানে কালো মেঘে হারিয়ে যাওয়ার মজা 
বর্ষা মানে কাক-ভেজা দিন প্রথম কদম ফুলে  
বর্ষা মানে ফুল নেওয়া সেই কীটপতঙ্গ ভুলে 
বর্ষা মানে আকাশ ভেঙ্গে  বৃষ্টি যখন নামে 
বর্ষা মানে লং ড্রাইভে পথের শবনমে
বর্ষা মানে জলের কথা মেঘের বার্তা ঘোর
বর্ষা মানে চোখের মাঝে  অন্ধ করা ভোর   
বর্ষা মানে খিচুড়িও সঙ্গে ঠাকুর রবি
বর্ষা মানে প্রিয় বন্ধুর স্পর্শে তুমি কবি
বর্ষা মানে দু‍জনের সেই আপন গল্পগুলো
বৃষ্টি মিশে জীবনটাকে স্বপ্ন করে দিল

বর্ষার একই অঙ্গে কত রূপ! কখনো সুন্দর, কখনো ভয়ংকর। কখনো টুপটাপ আবার কখনো মুষলধারে। বর্ষার আবেদন চিরকালীন। একাধারে সৃষ্টি ও সংহারের প্রতীক। বর্ষা ঋতুর আগমন আমাদের সকলের মনেই অনাবিল আনন্দের সঞ্চার করে। কিন্তু কখনো কখনো আকাশে ছেয়ে আসা ঘন কালো মেঘ মনে গভীর বিষাদও জাগায়, করে তোলে উদাস, নস্টালজিক। মনে পড়ে ছোটবেলায় বৃষ্টির দিনের নানা টুকরো স্মৃতি - বাড়ির সামনে জমে থাকা জলে কাগজের নৌকা ভাসানো, খিচুড়ি খাওয়া, বৃষ্টিতে ভেজা, স্কুলে রেনি ডে, বন্ধুদের সঙ্গে মজা! এখনো আমার কাছে বর্ষা মানে খিচুড়ি, গান, গল্পের বই, সিনেমা আর প্রচুর আড্ডা। এবং অবশ্যই প্রেম! বর্ষার কোনো আলোচনাই বোধহয় শেষ হবে না প্রেমের কথা না বললে। বর্ষা এবং প্রেম অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। ভরা বর্ষা, মেঘলা আকাশ, মেঘের ডাক, ঝমঝম বৃষ্টি, বিদ্যুতের ঝলক মনে একটা অদ্ভূত রোমান্টিকতার সৃষ্টি করে। প্রেমে পড়তে হলে, প্রেম কে ঠিক মত বুঝতে গেলে বর্ষাই আদর্শ। আমার কাছে বর্ষায় প্রেম মানে বৃষ্টিতে ভেজা, রিমঝিম বৃষ্টি, গরম চা বা কফিতে চুমুক আর জলে ভেজা ভালবাসার মানুষের দিকে অনেক ক্ষণ ধরে তাকিয়ে থাকা। বর্ষায় প্রেম মানে শরীরে শরীর ঠেকিয়ে হাঁটা - "এক অকেলি ছত্রি মে যব আধে আধে ভিগ রহে থে।" বর্ষাকে ভালো লাগে, ভালো লাগে কাঁচের জানলার সার্শিতে বৃষ্টির ছাঁট দেখতে এবং রবীন্দ্রনাথের গান শুনতে। ভালো লাগে প্রথম বৃষ্টির ফোঁটা, ঝোড়ো হাওয়া আর মাটির সোঁদা গন্ধ। খুব ইচ্ছে করে সমুদ্র সৈকতে বসে বৃষ্টি দেখতে, প্রাণ খুলে ভিজতে। আর ভালো লাগে লং ড্রাইভ। বর্ষায় সব কিছুই খুব রোমান্টিক লাগে। এমন একটা দিনেই বোধহয় তাকে বলা যায় "তোমায় ভালবাসি।" বর্ষায় বোধহয় ভালবাসার রূপ বদল হয়ে যায়। বাইরে পড়ে চলা অবিরাম বৃষ্টি এক অদ্ভূত বিষন্নতার সৃষ্টি করে - সেটা থেকে একমাত্র ভালোবাসাই পারে মুক্তি দিতে। বর্ষা আমার খুবই প্রিয়, কারণ আমি আদ্যন্ত রোমান্টিক মানুষ। বর্ষায় ভালো লাগে প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে কথা বলতে, পছন্দের গান ও সিনেমা দেখতে। অসহ্য গরমের পরে যখন বর্ষা আসে তখন মন ভরে যায় আনন্দে, নিবিড় প্রেমে। দীর্ঘ বিরহ আর একাকিত্বের পর ভরা বর্ষা তাই প্রেমেরই বার্তাবাহক...